কিশোরগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান।Places Of Interest In Kishoreganj District.

কিশোরগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান।Places Of Interest In Kishoreganj District

0

জঙ্গলবাড়িদূর্গ

জঙ্গলবাড়ি দূর্গ

জঙ্গলবাড়িদুর্গ ছিল বারো ভূঁইয়াদের প্রধান ঈসাখাঁর দ্বিতীয় রাজধানী।এটি কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে করিমগঞ্জ উপজেলার কাদির জঙ্গলইউনিয়নের জঙ্গলবাড়িগ্রামেঅবস্থিত।দুর্গের ভিতরে ঈসাখাঁ কয়েকটি স্থাপনা গড়ে তোলেন।১৮৯৭সালে ভুমিকম্পে দুর্গের কিছুঅংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এগারসিন্দুরদূর্গ

এগারসিন্দুর দূর্গ




___________________________________________

এগারসিন্দুরদুর্গ পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামে অবস্থিত।এটি ছিল অহম শাসকদের রাজধানী ১৫৩৮সালে মুঘলরা অহমদের পরাজিত করে এ অঞ্চল দখল করে।এখানেই১৫৮০সালে বারভূঁইয়াদের প্রধান ঈসাখাঁ মুঘলসম্রাট আকবরের সেনাপতি মানসিংহকে পরাজিতকরে।

শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান

শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব প্রান্তে প্রায় ৬.৬১একর জমিতে অবস্থিত বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। ইয়েমেন থেকে আগত শোলাকিয়া ‘সাহেব বাড়ির’ পূর্ব পুরুষ সুফি সৈয়দ আহমেদ তার নিজস্ব তালুকে ১৮২৮সালে নরসুন্দা নদীর তীরে ঈদের জামাতের আয়োজন করেন। ওই জামাতে ইমামতি করেন সুফি সৈয়দ আহমেদ নিজেই।অনেকের মতে, মোনাজাতে তিনি মুসল্লিদের প্রাচুর্যতা প্রকাশে ‘সোয়ালাখ’ কথাটি ব্যবহার করেন। আরেকমতে, সেদিনেরজামাতে১লাখ২৫হাজার (অর্থাৎ সোয়ালাখ) লোক জমায়েত হয়।ফলে এর নাম হয় ‘সোয়ালাখি’ ।পরবর্তীতে উচ্চারণের বিবর্তনে শোলাকিয়া নামটি চালু হয়ে যায়। পরবর্তিতে ১৯৫০ সালে স্থানীয় দেওয়ান মান্না নদাদখাঁ এই ময়দান কে অতিরিক্ত ৪.৩৫একর জমিদান করেন।

পাগলামসজিদ

পাগলা মসজিদ

পাগলা মসজিদ বাংলাদেশের একটি প্রাচীন মসজিদ। মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত। জনশ্রুতি অনুসারে, তৎকালীন কিশোরগঞ্জের হয়বতনগর জমিদার পরিবারের ‘পাগলা বিবি’র নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়।

শহীদী মসজিদ

শহীদী মসজিদ




___________________________________________

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে অবস্থিত আধুনিক স্থাপত্যের এক ঐতিহাসিক নিদর্শন “শহীদী মসজিদ”।মূল শহরের প্রাণকেন্দ্রে মসজিদটির অবস্থান।মসজিদটিকে আধুনিকরূপে নির্মাণের ক্ষেত্রে যিনি অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি হলেন হযরত মাওলানা আতাহার আলী (রহঃ)। মাওলানা আতাহার আলী পুরান থানার এ মসজিদে আসেন ১৯৩৮ সালে। মসজিদের নির্মাণ সমাপ্তির পর তিনি ১৩৬৪ বাংলা সনের ৮ই কার্তিক মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে এক অভূতপূর্ব বিশাল সুউচ্চ পাঁচতলা মিনারের ভিত্তি স্থাপন করেন। এরপরই মসজিদটি ঐতিহাসিক মসজিদে রূপান্তরিত হয় এবং নামকরণ করা হয় “শহীদী মসজিদ” নামে।

চন্দ্রাবতী মন্দির

চন্দ্রাবতী মন্দির

চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত প্রথম বাঙালি মহিলা কবি স্মৃতিবিজরিত শিবমন্দির। এটি কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে মাইজখাপন ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামে ফুলেশ্বরী নদীর তীরে অবস্থিত

দিল্লীর আখড়া

দিল্লীর আখড়া

দিল্লীর আখড়া মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে নির্মিত। এটি মিঠামইন উপজেলায় অবস্থিত।

তালজাঙ্গা জমিদার বাড়ি

তালজাঙ্গা জমিদার বাড়ি

তালজাঙ্গা জমিদার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। জমিদার বাড়িটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জমিদার রাজ চন্দ্র রায়। তিনি ১৯১৪ সালে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করার পর প্রায় ৩৩ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জমিদারি করেন।তার জমিদারি শেষ হয় তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।

নিকলীর বেড়িবাঁধ

নিকলী হাওর

নিকলী হাওর কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলায় অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ সদর থেকে নিকলি উপজেলার দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। পানিতে দ্বীপের মত ভেসে থাকা ছোট ছোট গ্রাম, স্বচ্ছ জলের খেলা, মাছ ধরতে জেলেদের ব্যস্ততা, রাতারগুলের মত ছোট জলাবন ও খাওয়ার জন্যে হাওরের তরতাজা নানা মাছ। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার এটিকে টুরিস্টস্পট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here