নরসিংদী জেলার দর্শনীয় স্থান।Places Of Interest In Narsingdi District.

0

হেরিটেজ রিসোর্ট

হেরিটেজ রিসোর্ট

প্রচলিত ভ্রমণ স্থানের বাইরে চিত্তবিনোদনের উদ্দেশ্যে সময় কাটানোর জন্য রাজধানী ঢাকা আশেপাশের জেলায় অবস্থিত রিসোর্টগুলো বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নরসিংদী জেলার মাধবদীর নওপারায় অবস্থিত তেমনি এক রিসোর্টের নাম হেরিটেজ রিসোর্ট। ঢাকা সিলেট মহাসড়ক ধরে ৪০ কিলোমিটার রাস্তা এগুলেই এ রিসোর্টে পৌঁছে যাবেন। প্রায় ১৫০ বিঘা জায়গা জুড়ে নির্মিত হেরিটেজ রিসোর্টে অতিথিদের অবকাশ যাপনের সুবিধার্থে রয়েছে আধুনিক কটেজ, ওয়াটার ভিলা, পুল ভিলা, ওয়েভ বিচ, সুইমিং পুল, জীম, স্পা, মাল্টি কুজিন রেস্টুরেন্ট, কনভেনশন সেন্টার, কনফারেন্স হল, কালচারাল হল সহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের সুব্যবস্থা।এছাড়াও এখানে রয়েছে ভেজিটেবল গার্ডেন ও ফ্রুট গার্ডেন। সম্পূর্ণ রিসোর্ট ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে ক্লাব কার। প্রিয়জনদের সাথে পূর্ণিমা রাত উপভোগের জন্য আছে মুন সিন কর্নার। এই রিসোর্টে রয়েছে ৩০০ আসন বিশিষ্ট রেস্টুরেন্ট। এখানে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় কুজিন পাবেন। নানা রকম কন্টিনেন্টাল ফুড এর পাশাপাশি সব ধরনের খাবার পাওয়া যাবে এখানে। এই রিসোর্টে তিন ধরণের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তালতলা ভিলেজ, ভিলা ও ওয়াটার কটেজ। ওয়াটার কটেজগুলো লেকের পানির উপরে তৈরি করা হয়েছে। যা লতাপাতা দিয়ে ঘেরা দারুণ নান্দনিক। প্রতিটি কটেজে রয়েছে আলাদাভাবে ফ্যামিলি রেস্টুরেন্ট।

লটকন বাগান

লটকন বাগান




___________________________________________

লটকন মানেই নরসিংদী জেলার নাম সবার আগে আসবে কারন নরসিংদী জেলার রায়পুরা, শিবপুর, মরজাল এসব উপজেলায় সবচেয়ে বেশি লটকন হয়ে থাকে। শিবপুর উপজেলার ছোটাবান্দা গ্রামের রাস্তার দুই পাশের অসংখ্য ছোট বড় লটকন বাগান নজরে পড়ে।তবে কোন বাগানে ঢোকার আগে অবশ্যই মালিকের অনুমতি নিতে হবে। অধিকাংশ বাগানের মালিক খুবই আন্তরিক এবং দর্শনার্থীদের আগ্রহ নিয়ে নিজেদের বাগান ঘুরে দেখায়। তাই বাগানের মালিকের সাথে কথা বলে নিজ হাতে গাছ থেকে পেড়ে লটকন খেতে পারবেন।দেশের অন্যান্য আরও অনেক এলাকাতে লটকন হয়। তবে স্বাদের সেরা লটকন পাবেন এখানেই। বাগান ভ্রমণের সাথে সাথে কিনে নিয়ে যেতে পারেন প্রিয়জনদের জন্যও।

আটকান্দি মসজিদ

আটকান্দি মসজিদ

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আটকান্দি গ্রামে মাওলানা আলিম উদ্দিন প্রায় ১৫০ বছর আগে ঐতিহাসিক আটকান্দি মসজিদ নির্মাণ করেন।মওলানা আলীম উদ্দিন একজন ধার্মিক মানুষ ছিলেন। মওলানা আলীম উদ্দিন ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন তিনি দেওবন্দ হতে শিক্ষা গ্রহন করেন পরবর্তিতে ঢাকায় এক মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।কোন শিলালিপি না থাকায় মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে অনুমান করা হয় আটকান্দি মসজিদটি ১৮৯০ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে আটকান্দি মসজিদটি নীলকুঠি মসজিদ নামে সুপরিচিত।আটকান্দি নীলকুঠি মসজিদটিতে একটি কেন্দ্রীয় মেহরাব রয়েছে। আটকান্দি নীলকুঠি মসজিদটি ৮ গম্বুজ বিশিষ্ট এর মধ্যে মূল মসজিদে গম্বুজ রয়েছে ৩ টি মাঝের গম্বুজটি ২ পাশের গম্বুজ হতে অপেক্ষাকৃত বড় আর মূল মসজিদের বাহিরে বারান্দায় গম্বুজ রয়েছে ৫ টি। এই গম্বুজ গুলো মসজিদের মূল গম্বুজ থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট। মসজিদের বারান্দা দিয়ে মূল মসজিদে প্রবেশ পথ রয়েছে ৫ টি এবং বারান্দার ২ পাশে ২ টি। বারান্দা থেকে মূল মসজিদে ভিতরে প্রবেশ পথ রয়েছে ২ টি। আটকান্দি নীলকুঠি মসজিদটি কে অনেকে মোঘল স্থাপত্যশৈলীর সাথে তুলনা করেন আবার অনেক মসজিদ টি কে তাজমহলের সাথে তুলনা করেন কারন মসজিদের গম্বুজ গুলো তাজমহলের গম্বুজের মত দেখতে।প্রতিদিনই এই ঐতিহাসিক মসজিদটিকে দেখতে অনেক ঐতিহ্য প্রেমী এবং ভ্রমণ পিপাসু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে এখানে ছুটে আসেন।

সোনাইমুড়ি টেক

সোনাইমুড়ি টেক

সোনাইমুড়ি টেক নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের কুন্দারপাড়া বাজারের পাশে অবস্থিত যা ঢাকা থেকে ৬১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সোনাইমুড়ি টেক বেশির ভাগই পড়েছে শিবপুর উপজেলায় আর বাকিটা বেলাবো জনপদে। লাল মাটির পাহাড়ি টিলা, সমতল ভূমির বসতবাড়ি, পাখির কল-কাকলী ও অপার সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ সোনাইমুড়ি বিনোদন পার্কে ছুটির দিনগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভিড়।নরসিংদী থেকে শিবপুর যাওয়ার পথে নজরে পড়বে গাছ গাছালীতে ঘেরা অসংখ্য লাল মাটির টিলা। টিলার উপর থেকে পাহাড় ও সমতলের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য সকলকে মুগ্ধ করে। লাল মাটির এই টিলার মাঝ দিয়ে চলে গিয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। শুটিং স্পট হিসেবে জনপ্রিয় এই জায়গায় প্রায়ই বিভিন্ন নাটক ও সিনেমার শুটিং হয়ে থাকে। এছাড়া শিশুদের জন্য সোনাইমুড়ি টেকে রয়েছে বেশ কিছু বিনোদনের ব্যবস্থা।

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান জাদুঘর

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান জাদুঘর

ঢাকার নিকটবর্তী নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের রামনগরে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর অবস্থিত। ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবহনকারী এই জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয়। উপঅধিনায়ক এ কে খন্দকার জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। জাদুঘরে প্রায় ২ হাজার ৮০০টি বই রয়েছে। তবে এই জাদুঘরে বীরশ্রেষ্ঠের ব্যবহার্য কোন স্মৃতি চিহ্ন নেই। জাদুঘরের লাইব্রেরীটিতে রয়েছে প্রায় ২ হাজার ৮০০ টি বইয়ের সংগ্রহ। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান জাদুঘরের পাশে রয়েছে বীরশ্রেষ্টের স্বজনদের বাড়ি, রামনগর হাই স্কুল ও রামনগর উত্তর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই জাদুঘর।জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মেঘনার নদীর গা ঘেঁষা বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান জাদুঘর দেখতে দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসেন।

গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ি

গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ি

নরসিংদী জেলার পাঁচদোনা গ্রামের ড্রিম হলিডে পার্ক সংলগ্ন মেহেরপাড়ায় রয়েছে ভাই গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ি। বাড়িটি অনেকদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় ২০১৬ সালে ভারতীয় কমিশনারের অনুদানে মূল বাড়ির কাঠামো ঠিক রেখে পুনর্নির্মাণ করে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ি সংস্কারের ক্ষেত্রে চুন, সুড়কির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনা মুল্যবান কাঠ ও টালি ব্যবহার করা হয়েছে। আর বাড়ীর অন্দরমহল সাজানো হয়েছে ব্রিটিশ আমলের আসবাপত্র দিয়ে। এছাড়া সামনে স্থাপন করা হয়েছে গিরিশ চন্দ্র সেনের সংক্ষিপ্ত জীবনী সহ একটি আবক্ষ মূর্তি। গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়িতে বর্তমানে জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে। জাদুঘরে গিরিশ চন্দ্র সেনের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, বাস্তুভিটায় আবিষ্কৃত প্রত্নতত্ন এবং তাঁর লেখা বই সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহের রবিবার ব্যতিত অন্য ৬ দিন গিরিশ চন্দ্র জাদুঘর সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

উয়ারী বটেশ্বর

উয়ারী বটেশ্বর

উয়ারী-বটেশ্বর  বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল। নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পশ্চিমে অবিস্থত উয়ারী এবং বটেশ্বর গ্রাম দু’টি ছাপাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রার প্রাপ্তিস্থান হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে পরিচিত। প্লাইসটোসিন যুগে গঠিত মধুপুর গড়ের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত এ গ্রাম দু’টিতেই নিবিড় অনুসন্ধান ও সীমিত প্রত্নতাত্ত্বিক খননে আবিষ্কৃত হয়েছে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন দুর্গ নগর। পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় অবস্থিত উয়ারী বটেশ্বর  গ্রাম দুটি তৎকালীন সময়ে নদী বন্দর ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল।সর্বপ্রথম ১৯৩৩ সালে শ্রমিকরা মাটি খননকালে একটি কলসী পান এবং এতে বঙ্গভারতের প্রাচীনতম রৌপ্যমুদ্রা ছিল। ১৯৫৫ সালে স্থানীয় শ্রমিকরা ত্রিকোণাকৃতি ও এক মুখ চোখা ভারী দুটি লৌহপিন্ডের সন্ধান পায়। এরপর বিভিন্ন সময়ে উয়ারী বটেশ্বর হতে নানা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন যেমন বিষ্ণুপট, পাথরের গুটিকা, লৌহ কুঠার, বল্লম, ব্রোঞ্জের পাত্র ইত্যাদি আবিষ্কৃত হয়। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে নির্মিত দুর্গ, নগর, রাস্তা ও মুদ্রা ভান্ডারসহ অনেক নিদর্শন উয়ারী বটেশ্বর হতে আবিষ্কৃত হয়েছে। বিখ্যাত গ্রীক ভূগোলবিদ টলেমীর ‘জিওগ্রাফিয়া’ বইয়ে উল্লেখিত ‘সোনাগড়া’ নামে উল্লেখিত ধনী ও উন্নত প্রাচীন শহর উয়ারী ও বটেশ্বরের সাথে ৪০০০ কিলোমিটার সিল্করুটের সংযোগ ছিল। তাই উয়ারী ও বটেশ্বরকে বাংলাদেশের প্রাচীনতম মহাজনপদ হিসাবে মনে করা হয়।

লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি

লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি

রাজধানী ঢাকা থেকে অল্প দূরত্বে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ডাংগা বাজারের কাছে উকিলের বাড়ি বা লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি অবস্থিত। নিপুণ কারুকার্যমন্ডিত এই বাড়ির নির্মাতা জমিদার লক্ষণ সাহা মূলত ছিলেন প্রধান জমিদারের অধিনস্থ একজন সাব-জমিদার। একটি পূর্ণাঙ্গ শৈল্পিক জমিদার বাড়ি, এর পাশেই ছোট্ট আরেকটি কারুকার্য খচিত ঘর, একটি অর্ধনির্মিত প্রাচীন বাড়ি। জমিদার বাড়ির পেছনে রয়েছে গাছগাছালি যুক্ত বাগান। জমিদার বাড়ি সহ এই বাগানের চারিদিকটা উঁচু প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত। রয়েছে সেই সময়ই তৈরি করা জমিদার বাড়ির সুন্দর একটি পুকুর আর সান বাধানো পুকুর ঘাট। তাছাড়া পুকুর ঘাটে ঢুকার সময় নিচে তাকালে দেখতে পাবেন তৎকালীন আমলের মূল্যবান কষ্টি পাথরের ঢালাই। পুকুরের চারপাশে পূঁজা করার জন্যে চারটি মঠ ছিলো। ২-৩ টা নষ্ট হয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। একটা অবশিষ্ট আছে যা পুকুর ঘাটেই দেখা মিলবে। লক্ষন সাহার জমিদার বাড়ি পাশেই কুন্ডু সাহার জমিদার বাড়ি। একবারে পাশাপাশি দুইটা বাড়ি। আর লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি হতে ৫ মিনিট উওর দিকে হাটলেই পাবেন সিধেন সাহার জমিদার বাড়ি।তৎকালীন ভারতবর্ষে এই এলাকাটি ছিল দেবোত্তর হিসেবে। মূলত দেবোত্তর বলতে বুঝায় ওয়াকফাহ্ জমি। ঐ সময়ে দেবোত্তর জমি হলে জামিদারকে খাজনা দেওয়া লাগতোনা। জমিদার লক্ষণ সাহার ছিল তিন ছেলে (নিকুঞ্জ সাহা, পেরিমোহন সাহা ও বঙ্কু সাহা)। বঙ্কু সাহা ভারত ভাগের সময় এখান থেকে ভারতে চলে যান। থেকে যায় দুই ভাই। পাকিস্থান থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হওয়ার কিছু পূর্বে নিকুঞ্জ সাহাও ভারতে চলে য়ায়। তখন থেকে যায় পেরিমোহন সাহা। এই পেরিমোহন সাহার ছিল এক ছেলে, তার নাম ছিলো বৌদ্ধ নারায়ন সাহা। বৌদ্ধ নারায়ন সাহার কাছ থেকে বাড়িটি ক্রয় করেন আহম্মদ আলী (উকিল)। মূলত আহম্মদ আলী সাহেব উকালতি পেশার সাথে সংযুক্ত ছিলেন বিধায় বর্তমানে এই জমিদার বাড়িটি উকিলের বাড়ি হিসেবেই বেশি পরিচিত।

বালাপুর জমিদার বাড়ি

বালাপুর জমিদার বাড়ি

বালাপুর জমিদার বাড়ি  রাজধানী ঢাকার কাছে একদিনের ভ্রমণের জন্য চমৎকার একটি দর্শনীয় স্থান।নরসিংদী সদরের পাইকারচর ইউনিয়নের বালাপুর গ্রামে ঐতিহ্যবাহী বালাপুর জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। মেঘনা নদীর তীরে প্রায় ৩২০ বিঘা জমির ওপর জমিদার নবীন চন্দ্র সাহা দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যমন্ডিত জমিদার বাড়িটি তৈরি করেন।বালাপুর জমিদার বাড়িটি ১০৩ কক্ষের বিশাল বাড়ি। এখানে বাড়ির উত্তর দিকে একতলা, দক্ষিণে দোতলা, পূর্ব দিকে তিনতলা এবং পশ্চিম দোতলা ভবন দেখতে পাবেন। ফ্লোরে মোজাইক ও টাইলসের ব্যবহার দেখেই বোঝা যায় সেসময়ে কতটা বিলাস বহুল ছিল এই বাড়িটি। দরজা, জানালাগুলো ফুল লতাপাতাসহ বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর কারুকার্যে সজ্জিত। এই জমিদার বাড়ির প্রতিটি ভবনই মনোমুগ্ধকর কারুকার্য শোভিত।জমিদার বাড়ির পশ্চিমে রয়েছে তিনটি শান বাঁধানো পুকুর ঘাট।জমিদার বাড়ির পাশে ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী বালাপুর নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়। এই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই মেঘনা নদীর ঘাট। জনশ্রুতি আছে, ভারতের কলকাতা থেকে স্টিমার এসে এ ঘাটেই মালামাল খালাস করত। আর তাই এই জায়গাকে বর্তমানে স্টিমারঘাট বলে ডাকা হয়।

ড্রিম হলিডে পার্ক

ড্রিম হলিডে পার্ক




___________________________________________

নরসিংদী জেলার পাঁচদোনার চৈতাবাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ড্রিম হলিডে পার্ক  গড়ে উঠেছে। প্রায় ৬০ একর জমির ওপর নির্মিত পার্কটিতে বিভিন্ন ধরনের ওয়াটার বাম্পার কার, রাইডার ট্রেন, বাইসাইকেল, রকিং বর্স, স্পিডবোট, সোয়ানবোট, জেড ফাইটার, নাগেট ক্যাসেল, এয়ার বাইসাইকেল রয়েছে। এখানে অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ইমু পাখি, মায়াবি স্পট,কৃত্রিম অভয়্যারণ্য, ডুপ্লেক্স কটেজ এবং কৃত্রিম পর্বত তৈরী করা হয়েছে। এছাড়াও এই পার্কে ওয়াটার পুল স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে কান পেতে সমুদ্রের গর্জন শোনা যায়। দর্শনার্থীদের বসার জন্য এই পার্কে অনেক খুপড়ি ঘর রয়েছে, আর বিনোদনের কথা ভেবে সঙ্গীতের নানা ধরনের উপকরণ রাখা হয়েছে। যেকেউ পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে ড্রিম হলিডে পার্কে ভ্রমন করতে পারবেন। পার্কটি প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। পার্কের ভেতরে প্রবেশ করতে ৩০০ টাকা দিয়ে টিকেট কাটতে হবে। চাইলে পিকনিকের স্পট হিসাবে ড্রিম হলিডে পার্কটি বেছে নিতে পারেন। এখানে মায়াবী ও মধুরিমা নামে দুইটি পিকনিক স্পট রয়েছে। এছাড়া দুইটি এসি রুমের ১টি বাংলো পিকনিকের জন্য বরাদ্ধ থাকে। পরিবার নিয়ে এখানে রাত্রি যাপন করতে চাইলে পার্কের নিজস্ব বিলাসবহুল কটেজ থেকে পছন্দের কটেজ বেছে নিতে পারবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here